পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials )
(ঘ) কাজের ধারা
১. রেফ্রিজারেটর ইউনিট ফ্লাশিং কর।
ক. কন্ডেনসার,ইভাপোরেটরের এক প্রান্তে নন রির্টান ভাল্ব লাগাও এবং ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে প্রেশার দাও;
খ. অপর প্রান্ত আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধর। যখন প্রেশার তৈরি হবে তখন ছেড়ে দাও । এভাবে বারবার করো ।
২. রেফ্রিজারেটরের লিক নির্ণয় করো ।
ক. ইউনিটের সাথে হাই প্রেশার গেজ ও ড্রাই নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের হোজ পাইপ সংযোগ করো;
খ. চিত্র অনুয়ায়ি ইউনিটে ৭০-৭৫ পি.এস.আই, ড্রাই নাইট্রোজেন প্রেশার দাও;
গ. প্রেশার দিয়ে অপেক্ষা কর এবং লক্ষ্য কর গেজ মিটারের কাটা নেমে যাচ্ছে কিনা । গেজ মিটারের কাটা নেমে গেলে বুঝতে হবে ইউনিটে লিক আছে;
ঘ. টিউবের বিভিন্ন জয়েন্টে ও সন্দেহজনক স্থানে সাবান ফেনা ধর;
ঙ. লক্ষ্য কর কোথা থেকে সাবান ফেনার বাবল তৈরি হচ্ছে । যেখান থেকে বাবল তৈরি হচ্ছে সেখানেই লিক আছে।
৩. রেফ্রিজারেটরের লিক মেরামত করো।
ক. রেফ্রিজারেটর ইউনিটের চার্জিং লাইন খুলে ড্রাই নাইট্রোজেন বের করে দাও,
খ. মডিউল ৫ এর ১ অথবা ২ নং জব অনুসরণ করে ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং জয়েন্টের মাধ্যমে লিক মেরামত করো;
গ. ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং এর মাধ্যমে নতুন ড্রায়ার লাগাও ।
৪. রেফ্রিজারেটর সিষ্টেমটি ভ্যাকুয়াম করো ।
ক. চিত্র অনুযায়ি রেফ্রিজারেটরের সাথে হোজ পাইপ, গেজ মেনিফোল্ড, ভ্যাকুয়াম পাম্প, সঠিক রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার স্থাপন করো;
খ. ভ্যাকুয়াম পাম্পে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দাও ও ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু করো;
গ. গেজ মেনিফোল্ডের সকল ভাল্ব খুলে দাও;
ঘ. কম্পাউন্ড গেজের কাঁটা -২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে (inch of Hg) নামা পর্যন্ত ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু রাখ;
ঙ. কম্পাউন্ড গেজের কাঁটা -২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে (inch of Hg) নেমে গেলে হাই প্রেসারগেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
চ. ভ্যাকুয়াম পাম্পটি বন্ধ কর এবং আনপ্লাগ
৫. রেফ্রিজারেটরে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করো।
ক. গ্যাস সিলিন্ডারের ভাল্বটি খুলে ফেল;
খ. কম্পাউন্ড গেজে মিটারের ভাল্বটি খুলে ফেল;
গ. রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক (রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী) চার্জিং প্রেশার তৈরি কর এবং কম্পাউন্ড গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
ঘ. সাপ্লাই লাইনে ক্লিপ অন মিটার সংযোগ করো;
ঙ. বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করে ইউনিটি চালু করো;
চ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেশার ও অ্যাম্পিয়ার সঠিক (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) আছে কিনা লক্ষ্য করো;
ছ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেশার ও অ্যাম্পিয়ার কম হলে পুনরায় রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক রানিং প্রেশার ও অ্যাম্পিয়ার (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) তৈরি করো।
রেফ্রিজারেশন ইউনিট মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ
৬. রেফ্রিজারেটরটিতে পরিপূর্ণ গ্যাস চার্জ হয়েছে কিনা পর্যবেক্ষন করো।
ক. ইনফরমেশন শিট অনুযায়ী সঠিক গ্যাস চার্জিং এর লক্ষন গুলি মেলাও ও সঠিক তথ্য ডাটা পিঠে লেখ;
খ. লক্ষণ গুলি মিলে পেলে গ্যাস সিলিন্ডারের ভালগুটি বন্ধ কর এবং হোজ পাইপ ও পেজ মেনিকোল্ড খুলে ফেল;
গ. চার্জিং লাইনটি পিকিং টুলসের সাহায্যে সিদ্ধ করো;
ঘ. গেঞ্জের তালুত অল্প খুলে দেখ রেফ্রিজারেন্ট বের হয় কিনা। বের হলে আবারও সিন্ড কর। বের হওয়া বন্ধ হলে গ্যাস ওয়েল্ডিং বা সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে ঝালাই কর এবং নন রিটার্নের মাথার একটি ডেড ক্যাপ দিয়ে বন্ধ করো।
কাজের সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
রেক্সিজারেশন ইউনিট ফ্লাশিং লিক টেস্ট, ভ্যাকুয়াম করে রেগ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।